শহীদ হলেন ইউক্রেনের পাইলট লেফটেন্যান্ট কর্নেল উস্তিমেনকো
রাশিয়ার চলমান আগ্রাসনের মধ্যে ইউক্রেনের একটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান রুশ মিসাইল হামলায় ভূপাতিত হয়েছে। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিমানটি রবিবার (২৯ জুন) রাতে রুশ ড্রোন ও মিসাইল প্রতিরোধ করতে গিয়েই ধ্বংস হয়।
এই হামলায় বিমানের পাইলট লেফটেন্যান্ট কর্নেল ম্যাকসিম উস্তিমেনকো শহীদ হন।
এটি এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের হারানো তৃতীয় এফ-১৬ যুদ্ধবিমান, যা যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এবং যুদ্ধক্ষেত্রে সবচেয়ে মূল্যবান অস্ত্রগুলোর একটি।
⚔️ ৫৫০টির বেশি মিসাইল ও ড্রোন দিয়ে রুশ হামলা
রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, রাতভর ইউক্রেনজুড়ে ৫৫০টিরও বেশি ড্রোন ও মিসাইল হামলা চালায় রাশিয়া।
হামলার মূল লক্ষ্য ছিল ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর মাইকোলাইভ, জাপোরিঝিয়া, এবং পশ্চিমাঞ্চলের লভিভ।
🇺🇸 এফ-১৬: ইউক্রেনের জন্য অমূল্য যুদ্ধসঙ্গী
এফ-১৬ যুদ্ধবিমান হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি একটি চতুর্থ প্রজন্মের মাল্টিরোল জেট, যা ইউক্রেনকে আধুনিক যুদ্ধক্ষেত্রে টিকে থাকার সুযোগ করে দেয়।
বিমানের প্রতিটি ইউনিটই এতটাই মূল্যবান যে, প্রতিটি হার ইউক্রেনের জন্য বড় ধাক্কা।
দীর্ঘ আলোচনার পর পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনকে এই বিমান সরবরাহ করে। তবে ইউক্রেন সরকার কখনোই প্রকাশ করেনি—তাদের হাতে ঠিক কতটি এফ-১৬ রয়েছে।
😔 শহীদ পাইলট ম্যাকসিম উস্তিমেনকো
ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়—
“৭টি শত্রু বিমান ও ড্রোন প্রতিহত করার পর, পাইলট মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত যুদ্ধবিমানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন এবং তা ভূপাতিত হয়।”
লেফটেন্যান্ট কর্নেল ম্যাকসিম উস্তিমেনকো ছিলেন ইউক্রেনের অন্যতম অভিজ্ঞ যুদ্ধবিমান চালক।
🇷🇺 রাশিয়ার বার্তা: পশ্চিমা অস্ত্র নিরাপদ নয়
বিশ্লেষকরা বলছেন, রাশিয়ার এমন হামলা পশ্চিমাদের একটি বার্তা দেয়ার চেষ্টা— যে, তাদের সরবরাহকৃত অস্ত্রও নিরাপদ নয়।
এটি সামরিক কৌশল ছাড়াও মনস্তাত্ত্বিক চাপ তৈরির কৌশল হিসেবে দেখা হচ্ছে।
❓ FAQ (প্রশ্নোত্তর):
রাশিয়া কতটি মিসাইল ও ড্রোন দিয়ে হামলা চালায়?
রয়টার্সের মতে, প্রায় ৫৫০টির বেশি মিসাইল ও ড্রোন ব্যবহার করা হয়।
ইউক্রেন কতটি এফ-১৬ হারিয়েছে?
এখন পর্যন্ত ৩টি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়েছে, তবে মোট সংখ্যা সরকারিভাবে প্রকাশ করা হয়নি।
কে ছিলেন নিহত পাইলট?
নিহত পাইলট ছিলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল ম্যাকসিম উস্তিমেনকো, ইউক্রেনের অভিজ্ঞ পাইলটদের একজন।
কোথায় হামলা চালানো হয়?
মাইকোলাইভ, জাপোরিঝিয়া ও লভিভ শহরে বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে।
রাশিয়ার উদ্দেশ্য কী হতে পারে?
বিশ্লেষকদের মতে, রাশিয়া পশ্চিমা অস্ত্র ব্যবহারের কার্যকারিতা নিয়েও সন্দেহ তৈরি করতে চায়।
