কুমিল্লার মুরাদনগরে হিন্দু নারী ধর্ষণের অভিযোগ, অভিযুক্ত বিএনপি কর্মী পলাতক
কুমিল্লার মুরাদনগরে এক হিন্দু নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ফজর আলী নামের স্থানীয় এক বিএনপি কর্মীর বিরুদ্ধে। ঘটনার সময় তিনি তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাতে বাহেরচর পাঁচকিত্তা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী নারী শুক্রবার (২৭ জুন) বিকেলে মুরাদনগর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলার পর অভিযুক্ত এখনো পলাতক।
---
ধর্ষণের ঘটনা যেভাবে ঘটেছে
অভিযোগপত্র অনুযায়ী, ভুক্তভোগী নারী ১৫ দিন আগে স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ১০টার দিকে অভিযুক্ত ফজর আলী তার ঘরে গিয়ে দরজা খুলতে বলেন। নারীর অস্বীকৃতি সত্ত্বেও, ফজর আলী জোর করে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করেন।
ভুক্তভোগীর চাচি শ্বরসতী বর্মন জানান, “পাশেই পূজা হচ্ছিল। হঠাৎ পাশের ঘর থেকে অস্বাভাবিক শব্দ শুনে আমি পূজোর অনুষ্ঠানের লোকজন ডেকে নিয়ে যাই।” উপস্থিত সবাই দরজা ভাঙা দেখতে পান এবং পরে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করেন।
---
স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়া
স্থানীয় বাসিন্দা সজীব বলেন, “ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি, দরজা ভাঙা এবং ফজর আলী ওই নারীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করছে। এলাকার মানুষ জড়ো হয়ে তাকে পালাতে বাধ্য করে।”
অভিযুক্ত ফজর আলী দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়ে নিজেকে নেতা পরিচয় দিয়ে আসছেন। এলাকার মানুষ জানান, তিনি বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গেও জড়িত ছিলেন।
ভুক্তভোগীর চাচা নকুল বর্মন বলেন, “আজকে আমার ভাতিজিকে ধর্ষণ করেছে, কালকে হয়তো আমাদের পুরো পরিবার আক্রান্ত হবে। আমরা এর বিচার চাই।”
---
পুলিশের অবস্থান
মুরাদনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহিদুর রহমান জানান, “ভুক্তভোগীর দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে আমরা দ্রুত অভিযান চালাচ্ছি। অভিযুক্ত ফজর আলীকে আটকের চেষ্টা চলছে।”
অভিযুক্তের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
---
উপসংহার
এই ঘটনাটি শুধু একটি নারীর প্রতি বর্বরতা নয়, বরং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও মানবাধিকারের জন্য একটি বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। অভিযুক্ত যেহেতু রাজনৈতিক পরিচয়ের আড়ালে থেকে অপরাধ করেছে, তাই দ্রুত বিচার ও প্রশাসনিক কঠোর পদক্ষেপ অত্যন্ত জরুরি।
---
#মুরাদনগর #ধর্ষণ #হিন্দু_নারী #ফজর_আলী #বিএনপি_কর্মী #বাংলাদেশ_রাজনীতি #নারী_নির্যাতন #সংখ্যালঘু_নিরাপত্তা
