📝 বিস্তারিত প্রতিবেদন:
আন্তর্জাতিক ডেস্ক | Amer Bangladesh
ইরানের সামরিক প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলে ৩১ হাজার ভবন ও ৪ হাজার যানবাহন সম্পূর্ণ ধ্বংস বা গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইরানের রাষ্ট্রীয় প্রতিরক্ষা বিষয়ক সংবাদমাধ্যম ‘দেফা প্রেস’।
রাশিয়ার বার্তা সংস্থা তাস-এর বরাতে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার ক্ষয়ক্ষতি ছিল ‘অভাবনীয় ও অপূরণীয়’। বিশেষ করে ইসরায়েলের দখলকৃত অঞ্চলের শহরগুলোতে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানায় বহু অবকাঠামো মাটিতে মিশে গেছে।
এই হামলা ছিল ইরানের সামরিক বাহিনীর ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ III’ এর অংশ, যেখানে ইসলামিক রেভ্যুলুশনারি গার্ডস কর্পসের অ্যারোস্পেস ফোর্স একযোগে ২২টি ধারাবাহিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।
প্রসঙ্গত, ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানে আগ্রাসী হামলা শুরু করে, যা ১২ দিন ধরে চলে। ইসরায়েল ওই সময় ইরানের সামরিক ঘাঁটি, পারমাণবিক স্থাপনা এবং বেসামরিক এলাকায় বোমাবর্ষণ করে।
২২ জুন, যুক্তরাষ্ট্রও হামলায় অংশ নেয়। ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায়—নাতাঞ্জ, ফোর্দো ও ইসফাহান—হামলা চালায় মার্কিন বাহিনী। জবাবে ইরান কাতারের আল উদেইদ মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।
সবশেষে, ২৪ জুন যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সংঘাত সাময়িকভাবে থেমেছে ঠিকই, তবে এটি মধ্যপ্রাচ্যের কৌশলগত ভারসাম্যে গভীর অভিঘাত ফেলতে পারে।
FAQ (প্রশ্নোত্তর):
প্রশ্ন ১: ইরানের হামলায় ইসরায়েলে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে?
উত্তর: দেফা প্রেসের মতে, প্রায় ৩১ হাজার ভবন ও ৪ হাজার যানবাহন ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
প্রশ্ন ২: কোন অপারেশনের আওতায় হামলা চালানো হয়?
উত্তর: ইসলামিক রেভ্যুলুশনারি গার্ডস কর্পসের ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ III’।
প্রশ্ন ৩: ইরান কেন হামলা চালায়?
উত্তর: ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসনের জবাবে ইরান পাল্টা হামলা চালায়।
প্রশ্ন ৪: যুদ্ধবিরতি কবে কার্যকর হয়?
উত্তর: ২৪ জুন।
প্রশ্ন ৫: কি কি মার্কিন স্থাপনায় হামলা হয়?
উত্তর: নাতাঞ্জ, ফোর্দো, ইসফাহান (ইরানে) এবং আল উদেইদ ঘাঁটি (কাতারে)।
Tags:
#ইরানহামলা #ইসরায়েল #দেফাপ্রেস #মধ্যপ্রাচ্যসংঘাত #ক্ষেপণাস্ত্রহামলা #DroneAttack #OperationTruePromize #BreakingNews #AmerBangladesh
