📅 প্রকাশিত: ২১ জুন ২০২৫
✍️ আমার বাংলাদেশ ডেস্কতেহরান:
ইরানের রাজধানী তেহরানে ইসরায়েলের ড্রোন হামলায় আবারও প্রাণ হারালেন একজন শীর্ষপরমাণু বিজ্ঞানী। নিহত বিজ্ঞানীর নাম ইসার তাবাতাবেই কামশেহ, যিনি তেহরানের মর্যাদাপূর্ণ শরিফ ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন শিক্ষার্থী ছিলেন। একই হামলায় নিহত হয়েছেন তার স্ত্রী মানসৌরিয়েহ হাজিসালেম।
শনিবার (২১ জুন) কামশেহর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে শরিফ ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) ভোররাতে তেহরানের একটি আবাসিক ভবনে ইসরায়েলি বিমানবাহিনীর (IAF) ড্রোন হামলায় এই দম্পতির মৃত্যু হয়।
📸 ধ্বংসস্তূপে পরিণত ভবন
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা যায়, ওই ভবনের একাংশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী পুরো এলাকা ঘিরে রেখেছে।
🚨 পরমাণু বিজ্ঞানীদের ওপর ধারাবাহিক হামলা
বিবিসি জানায়, ১৩ জুন থেকে ইরানে ইসরায়েলের ধারাবাহিক বিমান ও ড্রোন হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন পরমাণু বিজ্ঞানী। এর মধ্যে রয়েছেন ইরানের পরমাণু শক্তি সংস্থার প্রধান ফেরেয়াদুন আব্বাসি, মোহাম্মদ মেহদি তেহরাঞ্চি, আবদোলহামিদ মিনৌচেহর, আহমাদ রেজা জোল্ফঘারি, আমিরহোসেন ফেগহি, আকবার মোতালেবিজাদেহ, আলী বাকাই কারিমি, মানসুর আসগারি এবং সাঈদ বুরজি।
🎯 ইসরায়েলের উদ্দেশ্য কী?
বিশ্লেষকরা বলছেন, এসব পরিকল্পিত গুপ্তহত্যার উদ্দেশ্য ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ধ্বংস করা এবং দেশটির বৈজ্ঞানিক মহলে ভয় ও আতঙ্ক ছড়িয়ে দেওয়া।
⚠️ ইরানের প্রতিক্রিয়া
এখনও পর্যন্ত তেহরান থেকে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি। তবে রেভল্যুশনারি গার্ড (IRGC) এবং ইরানি গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ইসরায়েলকে দায়ী করে কঠোর প্রতিশোধের হুমকি দিয়েছে।
❗ পূর্ণমাত্রার যুদ্ধের ইঙ্গিত?
বিশেষজ্ঞদের প্রশ্ন— ইসরায়েল কি শুধু ইরানের পরমাণু কার্যক্রম ঠেকাতেই এসব হামলা চালাচ্ছে, নাকি এর মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে আরেকটি পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ উসকে দিতে চাইছে?
পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হচ্ছে।
