বিস্তারিত:
ইসরায়েলের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় আবারও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইরান। শনিবার (২১ জুন) ভোরে চালানো এই হামলায় অন্তত ১০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও বেশ কিছু ড্রোন ব্যবহার করা হয়। ইরানের দাবি, কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা এড়িয়ে রাজধানী তেল আবিবের কেন্দ্রস্থলে আঘাত হানে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) ইসরায়েল অধিকৃত অঞ্চলের ভেতরে বিভিন্ন সামরিক ও সরবরাহ ঘাঁটিতে ব্যাপক আকারে হামলা চালিয়েছে। হামলার সময় তেল আবিবসহ বিভিন্ন শহরে সাইরেন বাজতে থাকে এবং বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকাগুলো।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম চ্যানেল ১২ জানিয়েছে, ১০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে ৫টি প্রতিহত করা গেলেও বাকি ৫টি লক্ষ্যভেদ করে। এর মধ্যে একটি ক্ষেপণাস্ত্র তেল আবিবের দক্ষিণে হেলেন শহরে আঘাত হানে। সেখানে একটি বহুতল ভবনে আগুন ধরে যায় এবং ভবনটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
পাল্টা হামলার মুখে ইসরায়েল ‘লাইটনিং’ নামের নতুন আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা মোতায়েন শুরু করেছে, যা বিশেষ করে ড্রোন হামলা প্রতিরোধে ব্যবহৃত হবে।
এদিকে জেরুজালেম পোস্ট জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলার এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও তেহরানে কোনো ধরনের অস্থিরতা নেই। বরং ইরানের নেতৃত্ব আরও দৃঢ় হয়েছে এবং জনগণ সরকারের পক্ষে আরও ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, শনিবারের হামলা ছিল ইরানের ১৮তম পাল্টা হামলা, যা ইঙ্গিত দেয়— তেহরান দীর্ঘ মেয়াদে চাপ বজায় রেখে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পাল্টা আঘাত অব্যাহত রাখবে।
তথ্যসূত্র: আনাদুলু, চ্যানেল ১২, জেরুজালেম পোস্ট
.webp)