রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে. এম. নূরুল হুদার চার দিনের দ্বিতীয় দফার রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শুক্রবার (২৭ জুন ২০২৫) বিকেলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদের আদালত এ আদেশ দেন।
প্রথম দফার রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ দেখিয়ে ১০ দিনের নতুন রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আদালত চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ড আবেদনের ৫টি কারণ কী ছিল?
১. প্রদানকৃত তথ্য যাচাই-বাছাই:
আসামি রিমান্ডে থাকা অবস্থায় যে গুরুত্বপূর্ণ ও চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন, সেগুলো যাচাই-বাছাই করার জন্য।
2. নথি উদ্ধার ও বিশ্লেষণ:
প্রদত্ত তথ্যগুলো বিভিন্ন দাপ্তরিক নথির সঙ্গে সম্পৃক্ত। এসব নথি উদ্ধার ও বিশ্লেষণের প্রয়োজন।
3. ২০১৮ সালের নির্বাচনে জালিয়াতির তদন্ত:
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে পাতানো বলে দাবি করা হয়েছে। সেটিকে দাপ্তরিক অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করে এর গভীর তদন্ত জরুরি।
4. নির্বাচন বাজেট ও বাস্তবায়নের খতিয়ান:
২০১৮ সালের নির্বাচনের আর্থিক বাজেট ও তার বাস্তবায়ন সম্পর্কিত তথ্য উদঘাটন করাও প্রয়োজন।
5. সহযোগীদের শনাক্তকরণ ও গ্রেপ্তার:
আসামি যে সমস্ত পলাতক সহযোগীর নাম উল্লেখ করেছেন, তাদের গ্রেপ্তার ও জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন।
---
আদালতে হতাশ নূরুল হুদা
শুক্রবার দুপুর আড়াইটায় কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে বিকাল ৩টা ৪০ মিনিটে হেলমেট, বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও হাতকড়া পরানো অবস্থায় কাঠগড়ায় তোলা হয়। শুনানির সময় প্রায় ৪৫ মিনিট তিনি নিশ্চুপ ছিলেন এবং তার চেহারায় হতাশা ও বিষণ্নতার ছাপ স্পষ্ট ছিল।
---
পাঠকের জন্য বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ
সাবেক নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মতো স্পর্শকাতর মামলার তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া জাতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ নজির হতে পারে। ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিতর্ক থাকলেও এবার আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিষয়টি পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আওতায় এসেছে।
---
আপডেট থাকুন – দেশ ও রাজনীতির সর্বশেষ খবর জানতে ভিজিট করুন [আমার বাংলাদেশ ডট কম]
ট্যাগ (Tags):
#নূরুল_হুদা #রিমান্ড #রাষ্ট্রদ্রোহ #নির্বাচন_জালিয়াতি #সিইসি #বাংলাদেশ_রাজনীতি #আদালত #২০১৮_নির্বাচন
