আমার বাংলাদেশ ডেস্ক | ফেনী
ফেনীর পরশুরাম পৌরসভায় পাওনা টাকা চাওয়ার জেরে এক দোকানিকে টেনে-হিঁচড়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় যুবদলের বহিষ্কৃত নেতা মো. সায়েমের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার (১০ জুলাই) রাতে, তবে ভিডিওটি শনিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তা আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, সায়েম ও তাঁর ভাতিজা মো. ফয়সালসহ কয়েকজন ব্যক্তি পরশুরাম উত্তর বাজারের ‘সিয়াম স্টোর’ নামক দোকানে ঢুকে দোকানদার মো. সুমন হোসেনকে টেনে হিঁচড়ে বাইরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। এ সময় তাঁকে কিল-ঘুষি ও চড়-থাপ্পড় মারতে দেখা যায়। এমনকি তাঁর টি-শার্টও ছিঁড়ে ফেলেন হামলাকারীরা।
মারধরের শিকার দোকানি মো. সুমন জানান, গত বছরের বন্যার সময় সায়েম তাঁর দোকান থেকে প্রায় ১৫ হাজার টাকার ত্রিপল নেন। এর মধ্যে ১০ হাজার টাকা পরিশোধ করলেও বাকী ৫ হাজার টাকা তিনি ফেরত দেননি। এ টাকা চাইলে সায়েম ক্ষিপ্ত হয়ে মারধর করেন। হামলার পর সুমনকে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে হয়।
সুমনের ভাই মো. ইব্রাহিম জানান, হামলার পর অভিযুক্ত সায়েম তাঁর বাড়িতে গিয়ে থানায় অভিযোগ না করতে হুমকি দেন। বর্তমানে ভাই ভয়ে দোকানেও বসতে পারছেন না। বিষয়টি স্থানীয় বিএনপি নেতাদের জানানো হলে তাঁরা সালিসের আশ্বাস দিয়েছেন।
পরশুরাম পৌর যুবদলের আহ্বায়ক মোস্তফা খোকন বলেন, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে মো. সায়েমকে ২৫ জুন বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে যুবদলের অন্যান্য নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, তারা এই বহিষ্কারের বিষয়ে আগে কিছু জানতেন না। ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরই তাঁরা একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারেন।
পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নুরুল হাকিম জানান, বিষয়টি জানার পর পুলিশের পক্ষ থেকে দোকানি সুমনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। বাজার কমিটির মধ্যস্থতায় বকেয়া টাকা আদায় হয়েছে। যদিও দোকানি অভিযোগ করতে রাজি হননি, তবে পুলিশ একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে, কারণ সুমনকে হুমকি দেওয়া হয়েছে।
.png)