দিনাজপুর প্রতিনিধি | আমার বাংলাদেশ
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) আবারও চরম নৈরাজ্য ও প্রশাসনিক উদাসীনতার চিত্র সামনে এসেছে। সাংবাদিকদের স্বাধীনতায় সরাসরি হস্তক্ষেপ করে এবার হামলার শিকার হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতি—হাবিপ্রবিসাস।
সূত্র মতে, গত ৩০ জুন, সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ছাত্রদল কর্মী শামীম আশরাফীর নেতৃত্বে হাবিপ্রবিসাস অফিসে হামলা চালানো হয়। এসময় ভাঙচুর করা হয় সমিতির মালামাল ও নথিপত্র।
প্রশাসনের নিরবতা ও আশ্বাসের রাজনীতি
ঘটনার পরপরই সাংবাদিকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. এনামউল্যা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দোষীদের বিচার নিশ্চিতের আশ্বাস দিলেও চার দিন পেরিয়ে গেলেও কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া: আশ্বাসই সব?
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. শামসুজ্জোহা বলেন,
“উপাচার্যের নির্দেশনায় তদন্ত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এদিকে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর কবির বলেন,
“এটি শুধু সাংবাদিক সমিতির অফিস নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদ ধ্বংস করা হয়েছে। প্রশাসন কঠোর শাস্তি দেবে।”
সাংবাদিকদের প্রশ্ন: দোষীরা আসলে কবে শাস্তি পাবে?
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই হামলা ছিল সাংবাদিকতার উপর সরাসরি আক্রমণ। দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে তাঁরা নতুন কর্মসূচিরও হুমকি দিয়েছেন।
🔎 ট্যাগস: হাবিপ্রবি, সাংবাদিক সমিতি, ছাত্রদল, হামলা, শামীম আশরাফী, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, উপাচার্য, ন্যায়ের দাবি
