বাকেরগঞ্জে বিএনপির কর্মসূচিতে হামলা: খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবিতে ভাঙচুর, আহত অন্তত ৭
অভিযোগে সাবেক এমপি আবুল হোসেন খানের সমর্থকদের সম্পৃক্ততা, থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি
বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার পেয়ারপুর বাজারে বিএনপির সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচিতে হামলা চালানো হয়েছে। এতে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ছবি ভাঙচুর ও পদদলনের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় অন্তত ৬-৭ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটে শনিবার (৫ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে। বিএনপির স্থানীয় ইউনিট ‘কবাই ইউনিয়ন বিএনপি’র আয়োজনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম খান রাজনের।
কে বা কারা হামলা চালায়?
প্রত্যক্ষদর্শী ও আয়োজকরা জানান, অনুষ্ঠান শুরুর আগেই ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব মন্টু গাজী, যুবদল নেতা হাসান, ছাত্রদল নেতা বাপ্পি ও বিএনপি ক্যাডার রিগান নেতৃত্বে শতাধিক লোক হঠাৎ করে হামলা চালায়। তারা চেয়ার ও ছবি ভাঙচুর করে এবং নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় আহতদের মধ্যে রয়েছেন কবাই ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস মিয়া (৬২), প্রবীণ নেতা জয়দর হাওলাদার (৭০) এবং কর্মী সুমন আকন (৫০)।
অভিযোগ রয়েছে, হামলাকারীরা বরিশাল জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক এমপি আবুল হোসেন খানের অনুসারী।
নেতাদের প্রতিক্রিয়া
অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম খান রাজন বলেন, “আমি ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই আবুল হোসেন খানের নির্দেশে তার ক্যাডার বাহিনী পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়। শুধু মারধর নয়, আমাদের নেতৃবৃন্দের ছবি ভাঙচুর করে পদদলিত করা হয়। এটি শুধু একটি দলীয় অনুষ্ঠান নয়, বিএনপির অস্তিত্বে আঘাত। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”
পুলিশ ও প্রশাসনের ভূমিকা
হামলার পর রাজন নেতাকর্মীদের নিয়ে একটি সন্ত্রাস বিরোধী মিছিল করেন এবং থানায় গিয়ে অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান।
ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, “আমি মৌখিকভাবে অভিযোগ পেয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
দুই গ্রুপে উত্তেজনা, বিভক্তি স্পষ্ট
ঘটনার পর বাকেরগঞ্জে জেলা বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও দুই গ্রুপের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবুল হোসেন খান এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
ট্যাগস: #BNP #বরিশাল #বাকেরগঞ্জ #খালেদাজিয়া #তারেকরহমান #রাজনীতি #বাংলাদেশ