আমার বাংলাদেশ ডেস্ক | কুমিল্লা | ৫ জুলাই ২০২৫
কুমিল্লার মেঘনা উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আব্দুল অদুদ মুন্সির একটি পুরনো ভিডিও ফের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটিতে তাকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এবং প্রতীক ‘নৌকা’র পক্ষে প্রকাশ্যে ভোট চাইতে দেখা গেছে।
এ ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর মেঘনা উপজেলা বিএনপিতে দেখা দিয়েছে চরম অস্বস্তি, ক্ষোভ ও বিভক্তি। দলের নেতাকর্মীরা বলছেন, এই ভিডিও দলের ভাবমূর্তিকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
📹 ভাইরাল ভিডিওতে কী ছিল?
২০১৮ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সময় ধারণ করা ভিডিওতে আব্দুল অদুদ মুন্সিকে বলতে শোনা যায়:
“বাঘা বাঘা রাজনীতিবিদকে পিছনে ফেলে রতন শিকদার নৌকা প্রতীক নিয়ে আসায় আমি তাকে ধন্যবাদ জানাই। লুটেরচর ইউনিয়নের চারটি কেন্দ্রে যেন একটি ভোটও অন্য কোনো প্রতীকে না পড়ে— সবাই দেখে দেখে নৌকায় ভোট দেবেন।”
ভিডিওটিতে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সেই সময়ের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল্লাহ মিয়া রতন শিকদার এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল গাফফার।
🗣️ দলের ভেতরে ক্ষোভ ও হতাশা
স্থানীয় বিএনপির একাধিক সিনিয়র নেতা বলেন,
“অদুদ মুন্সি তখন দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন, এখন ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক। প্রভাবশালী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, যা দলের ভেতরে ক্ষোভ ও হতাশা তৈরি করেছে।”
🧾 নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করলেন অদুদ মুন্সি
বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হলে আব্দুল অদুদ মুন্সি বলেন:
“২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির কোনো প্রার্থী ছিল না। রতন শিকদার আমার ভাগিনা এবং আমার প্রতিষ্ঠিত শেখেরগাঁও আব্দুল অদুদ মুন্সি স্কুল এমপিওভুক্ত করতে তিনি সহযোগিতা করেছিলেন। সেই কৃতজ্ঞতা থেকেই আমি সভায় অংশ নিই। এটি দলীয় অবস্থান থেকে নয়, ব্যক্তিগত সম্পর্কের জায়গা থেকে করা হয়।”
⚠️ নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন ও বিভক্তি
এই ঘটনা ঘিরে মেঘনা উপজেলা বিএনপিতে ফের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন, দ্বিধা এবং বিভক্তির সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় নেতাকর্মীরা বলছেন,
“দলের চরম দুঃসময়ে যারা আদর্শ বিসর্জন দিয়ে প্রতিপক্ষের পক্ষে কথা বলেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।”