আমার বাংলাদেশ ডেস্ক
হবিগঞ্জ | ৭ জুলাই ২০২৫
হবিগঞ্জে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল শেষে ফেরার পথে চারজনকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক সাকিবকে আটক করেছে সেনাবাহিনী।
রবিবার (৬ জুলাই) রাতে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সেনাবাহিনী একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাকে আটক করে এবং পরবর্তীতে হবিগঞ্জ সদর থানায় হস্তান্তর করে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় রাজনীতি ও ছাত্র রাজনীতিতে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
হবিগঞ্জে হামলার ঘটনা
জানা গেছে, গত ৯ মে হবিগঞ্জ শহরের একটি এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। অভিযোগ অনুসারে, বিক্ষোভ মিছিল শেষে ফেরার পথে এনামুল হক সাকিব এবং তার অনুসারীরা পূর্ববিরোধের জেরে চারজনের ওপর হামলা চালায়।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন:
মাহদী হাসান
রকি
অন্তর
সাইফুল ইসলাম
তাদের মধ্যে কয়েকজনকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। গুরুতর আহত মাহদী হাসান পরে হবিগঞ্জ সদর থানায় এনামুল হক সাকিবকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
হবিগঞ্জে বহিষ্কার ও গ্রেফতার
ঘটনার পরপরই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটি এনামুল হক সাকিবকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করে। সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, "আমাদের আন্দোলন শান্তিপূর্ণ ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে। সহিংসতা আমাদের নীতির পরিপন্থী।"
বহিষ্কারের কিছুদিন পরই সেনাবাহিনীর হাতে সাকিব আটক হন। তাকে গ্রেফতারের সময় কোনো ধরনের সংঘর্ষ বা অস্থিরতা হয়নি বলে জানা গেছে।
হবিগঞ্জে পুলিশের বক্তব্য
এ বিষয়ে হবিগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ কে এম সাহাব উদ্দিন শাহীন বলেন:
“সাকিবের বিরুদ্ধে স্পষ্ট অভিযোগ রয়েছে। মামলার ভিত্তিতে সেনাবাহিনী তাকে আটক করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। আমরা আইনানুগ প্রক্রিয়ায় তদন্ত ও পদক্ষেপ নিচ্ছি।”
হবিগঞ্জে জনমতের প্রতিক্রিয়া
এ ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ বলছেন, সহিংস রাজনীতি কখনোই কাম্য নয়। আবার কেউ মনে করছেন, এই ঘটনার পেছনে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার হাত থাকতে পারে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। কেউ বলছেন, ছাত্র রাজনীতিতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এ ধরনের কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন, অন্যদিকে কেউ উদ্বেগ প্রকাশ করছেন আইন প্রয়োগের পদ্ধতি নিয়ে।
সেনাবাহিনী অভিযান হবিগঞ্জ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ সংগঠনের নেতার বিরুদ্ধে এমন সহিংসতার অভিযোগ সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে। এখন দেখার বিষয়, তদন্ত কীভাবে অগ্রসর হয় এবং সাকিবের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের ভিত্তিতে আদালত কী রায় দেন।
.webp)