আমার বাংলাদেশ ডেস্ক | ৫ জুলাই ২০২৫
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) যোগদানের প্রথম দিনেই এক নবনিযুক্ত কর্মচারীকে প্রকাশ্যে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে। অভিযোগ রয়েছে, বিএনপিপন্থী শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের সুপারিশে চাকরি না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি এ হামলা চালান।
🎯 কী ঘটেছিল?
ভুক্তভোগী কর্মচারী সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে ৩ জুলাই প্রশাসনিক ভবনে যোগদান করতে যান। অভিযোগ অনুসারে, সেদিন বিকেলে ছাত্রদল নেতা মেহেদী হাসান প্রশাসনিক ভবনে ঢুকেই তার ওপর চড়াও হন এবং প্রকাশ্যে মারধর করেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত মেহেদী হাসান আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাবরক্ষণ পদে আবেদন করেছিলেন, তবে চাকরি পাননি। বর্তমানে তিনি একটি বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত আছেন। ছাত্রদল নেতা হিসেবে তিনি সদস্য সচিব মুস্তাফিজুর রহমান শুভ-র অনুসারী বলেও জানা গেছে।
📞 কল দিয়ে দেখা চাওয়া, পরে হামলা
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালেই ভুক্তভোগীকে ফোন করে দেখা করতে বলেন মেহেদী হাসান। ভুক্তভোগী কাজের ব্যস্ততায় দেখা করতে পারেননি। বিকেলে প্রশাসনিক ভবনে প্রবেশ করে মেহেদী তাকে চিনে নিয়ে প্রকাশ্যে মারধর করেন। এসময় ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আবুল বাশার ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।
সন্ধ্যায় ক্যাম্পাস গেটের বাইরে ফের তাকে হেনস্তা করা হয় — এসময় উপস্থিত ছিলেন মেহেদী হাসানের সহযোগী হাসান সোহাগসহ আরও কয়েকজন।
❝ রাগের মাথায় মেরেছি ❞ — স্বীকার করলেন অভিযুক্ত
অভিযোগ স্বীকার করে মেহেদী হাসান বলেন,
“আমি কল দিয়েছিলাম, সে দেখা করার কথা বলে আর সাড়া দেয়নি। মোবাইল বন্ধ করে রাখায় রাগ উঠে যায়। রেজিস্ট্রার দপ্তরে গিয়ে তাকে খুঁজে পেয়ে রাগের মাথায় থাপ্পড় মারি।”
🔍 প্রশাসনের অবস্থান
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন,
“ভুক্তভোগী আমাকে ফোন করে ঘটনাটি জানান। আমি তাকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
🗣️ কে কী বললেন?
✅ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন বলেন:
“এটি একটি অপ্রত্যাশিত ঘটনা এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আমি প্রেসিডেন্টকে জানাবো।”
✅ ছাত্রদল যুগ্ম আহ্বায়ক আতিকুর রহমান বলেন:
“ঘটনার কথা জানতাম না। তবে সাংগঠনিক ও আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
✅ ছাত্রদল সদস্য সচিব মুস্তাফিজুর রহমান শুভ বলেন:
“আমি এ ব্যাপারে কিছুই জানি না।”
✅ একজন শিক্ষার্থী নাঈম ভূঁইয়া বলেন:
“বিশ্ববিদ্যালয়ে কেউই কারও গায়ে হাত তোলার অধিকার রাখে না। এমন ঘটনা শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।”
📌 সারাংশ
-
চাকরির প্রথম দিনেই কর্মচারীর ওপর ছাত্রদল নেতার হামলা
-
হামলার কারণ হিসেবে চাকরি না পাওয়ার ক্ষোভ
-
অভিযুক্তের স্বীকারোক্তি: রাগের মাথায় ‘থাপ্পড়’
-
প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দাখিলের প্রস্তুতি
-
ছাত্রদলের শীর্ষ পর্যায়ে প্রতিক্রিয়া
