লালমনিরহাট প্রতিনিধি | আমার বাংলাদেশ
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম থানায় হামলা ও সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় নতুন করে আরও ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর ফলে এই মামলায় এখন পর্যন্ত মোট ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন লালমনিরহাটের পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম।
শনিবার (৫ জুলাই) ভোরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় সোহেল রানা (২৮), মাসুদ রানা (২৬) ও রবিউল ইসলাম (৩৪)-কে। তাদের মধ্যে সোহেল রানা এক মাসের সাজাপ্রাপ্ত আসামি, মাসুদ রানা যুবদলের নেতা এবং রবিউল ইসলাম স্বেচ্ছাসেবক দলের স্থানীয় সাধারণ সম্পাদক।
অপরদিকে, একই ঘটনায় হাতীবান্ধা থানার সামনে অবরোধ সৃষ্টি ও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে নুরনবী খন্দকার কাজল ও মাহফুজুর রহমান বিপ্লবকে।
এর আগে ঘটনার রাতে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তারা হলেন:
-
হাবিবুর রহমান (বিএনপি নেতা)
-
মহিদুল ইসলাম মানিক (স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা)
-
আবুল কালাম (নৈশপ্রহরী)
-
আবদুর রশিদ (রেস্তোরাঁ কর্মচারী)
ঘটনাপ্রবাহ:
বুধবার (৩ জুলাই) রাতে পাটগ্রাম থানায় হামলা চালিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামিকে ছিনিয়ে নেয় একদল বিক্ষুব্ধ ব্যক্তি। এ ঘটনায় থানার এসআই হামিদুর রহমান বাদী হয়ে সরকারি কাজে বাধা, পুলিশকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ, সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ এনে ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।
একইসঙ্গে ওই সময় হাতীবান্ধা থানার সামনে ৭০–৮০টি মোটরসাইকেল দিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করে পুলিশি সহায়তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে উভয় থানায় পৃথক মামলা হয়। হাতীবান্ধা থানার ওসি জানান, এই মামলার সিসিটিভি ফুটেজ পুলিশের হাতে রয়েছে।
দলের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা:
ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পাটগ্রাম উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য বাদশা জাহাঙ্গীর মোস্তাজির ও পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদ হোসেন-কে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি ও যুবদল।
পুলিশ প্রশাসনের প্রতিশ্রুতি:
পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, সকল ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
ট্যাগ: #পাটগ্রাম #লালমনিরহাট #থানা_হামলা #বিএনপি #যুবদল #গ্রেপ্তার #পুলিশ #বাংলাদেশ_রাজনীতি
